যেভাবে নিতে হবে স্টারলিংকের সংযোগ, ভাগাভাগি করে ব্যবহার নিয়ে যা জানা গেল:
ডেস্ক রিপোর্ট :
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের বাজারে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করেছে। গতকাল মঙ্গলবার (২১ মে) অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয় এবং স্টারলিংক এক্সে দেওয়া পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করে।ইলন মাস্কের মালিকানাধীন এই প্রতিষ্ঠান সরাসরি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দিতে সক্ষম, বিশেষ করে যেখানে প্রচলিত সংযোগ পৌঁছায় না।স্টারলিংকের সেবা পেতে হলে গ্রাহকদের ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘রেসিডেনশিয়াল’ প্যাকেজ থেকে জায়গা বেছে নিয়ে অর্ডার করতে হবে। ‘রোম’ নামের ভ্রাম্যমাণ প্যাকেজ এখনো বাংলাদেশ সরকার অনুমোদন দেয়নি। অর্ডার দেওয়ার পর তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে সরঞ্জাম হাতে পৌঁছাবে। এতে থাকবে রিসিভার, কিকস্ট্যান্ড, রাউটার, তার ও পাওয়ার সাপ্লাই। ব্যবহারকারী নিজেরাই সহজে সেটআপ করতে পারবেন।বর্তমানে দুটি প্যাকেজ চালু রয়েছে—‘রেসিডেন্স’ যার মাসিক খরচ ৬ হাজার টাকা এবং ‘রেসিডেন্স লাইট’ যার খরচ ৪ হাজার ২০০ টাকা। প্রথমবার ৪৭ হাজার টাকা দিয়ে যন্ত্রাংশ কিনতে হবে। এই সেবা একটি ডিভাইস থেকে শহরে ২০–৫০ মিটার এবং গ্রামে ৫০–৬০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ফলে একাধিক ব্যক্তি মিলে যৌথভাবে এটি ব্যবহার করতে পারবেন।গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও ইলন মাস্কের আলোচনার পর স্টারলিংকের জন্য দ্রুত অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে সেবা চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং যথাসময়ে কার্যক্রম শুরু হয়।সরকার বলছে, দেশের মাত্র ৩০ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার ফাইবার সংযোগে যুক্ত, বাকিগুলোতে রয়েছে দুর্বল মাইক্রোওয়েভ লিংক। স্টারলিংক এই ঘাটতি পূরণে কার্যকর হবে। বিশেষ করে গ্রামের মানুষও একই মানের ইন্টারনেট সেবা পাবেন, যা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাতেও দেওয়া হয়।বর্তমানে তারা বিদেশি গেটওয়ে ব্যবহার করে ৯০ দিনের জন্য পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালাচ্ছে। এরপর স্থানীয় গেটওয়ে বাধ্যতামূলক করা হবে, যাতে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকে। এনটিএমসি-এর সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হয়েছে এবং আইনানুগভাবে নজরদারির শর্ত মানতে হবে। স্টারলিংকের পাশাপাশি অ্যামাজন কুইপার, ওয়ান ওয়েবসহ আরও কয়েকটি স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।স্টারলিংকের বাংলাদেশে প্রবেশের কার্যকর অগ্রগতি আসে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর। বিডা থেকে বিনিয়োগ নিবন্ধন ও বিটিআরসি থেকে ১০ বছরের লাইসেন্স পাওয়ার মাধ্যমে তারা দেশের বাজারে প্রবেশ করে।