কত দিন পর পর বাইকের ইঞ্জিন অয়েল বদলানো উচিত:
ডেস্ক রিপোর্ট :
বেশিরভাগ বাইক চালক জানেন না যে কখন বাইকের ইঞ্জিন ওয়েল বদলাতে হয়। অথচ বাইকের ভালো মাইলেজ পেতে হলে ইঞ্জিন ঠিক রাখা খুবই জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইঞ্জিন অয়েল সময়মতো পরিবর্তন না করলে ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে, যার প্রভাব পড়ে মাইলেজ এবং বাইকের সার্বিক পারফরম্যান্সে। তবে এই পরিবর্তনের সময় নির্ভর করে বাইকের মডেল, ইঞ্জিনের ধরন ও ব্যবহারের ধরনের উপর। তাই নিয়মিত বাইকের ইঞ্জিন অয়েল বদলানো উচিত। কিন্তু কত দিন পর পর বাইকের ইঞ্জিন অয়েল বদলানো উচিত?
নতুন বাইক কেনার পর প্রথম সার্ভিসেই প্রায় ৫০০ থেকে ৭৫০ কিলোমিটার চলার পর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করার পরামর্শ দেন মেকানিকরা।
সিনথেটিক ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করলে প্রতি ৫,০০০ থেকে ৫,৫০০ কিলোমিটার পর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করাই যথেষ্ট। তবে বাইক যদি পুরোনো হয়, সেক্ষেত্রে ২,০০০ থেকে ৩,০০০ কিলোমিটার পর পর অয়েল বদলে ফেলা উচিত। এতে পুরোনো বাইক থেকেও মেলে ভালো মাইলেজ ও মসৃণ পারফরম্যান্স।
বাইক যদি পুরোনো হয় তা হলে ২ থেকে ৩ হাজার কিলোমিটার পর পর ইঞ্জিন অয়েল বদলে ফেলা উচিত। তাতে পুরোনো বাইক থেকেও আপনি ভালো মাইলেজ পেতে পারেন।
শহর বনাম হাইওয়ে: ব্যবহারে পার্থক্য
শহরের রাস্তায় ঘন ঘন ব্রেক, গিয়ার পরিবর্তন ও ক্লাচ ব্যবহারের কারণে ইঞ্জিনের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। তাই শহুরে ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতি ৩,০০০ কিলোমিটার পর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করাই ভালো। অন্যদিকে, হাইওয়েতে বাইক চললে ইঞ্জিনের ওপর চাপ তুলনামূলকভাবে কম পড়ে, ফলে ৪,০০০ থেকে ৫,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চালানো সম্ভব হয়।
বাইকের ম্যানুয়াল গাইডলাইনের উপর ভিত্তি করে এবং বিশ্বস্ত মেকানিকের পরামর্শ অনুযায়ী ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করুন। ভালো মানের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারে ইঞ্জিন যেমন দীর্ঘস্থায়ী হয়, তেমনই বাড়ে মাইলেজ।