ট্রাম্পের কঠিন প্রশ্নবানে হোয়াইট হাউসে নাস্তানাবুদ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট:

ডেস্ক রিপোর্ট :

ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজের একটি উত্তেজনাপূর্ণ বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি ও উসকানিমূলক অভিযোগের মুখেও শান্ত এবং সংযত আচরণ করে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা।বৈঠকে ট্রাম্প বারবার দাবি করেন যে, দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘুরা ‘হত্যা ও জমি দখলের’ শিকার হচ্ছেন—যা দক্ষিণ আফ্রিকার বাস্তবতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। রামাফোসা এসব অভিযোগ যুক্তির মাধ্যমে খণ্ডন করেন এবং উত্তেজনায় না ভেসে দায়িত্বশীল কূটনীতিকের মতো আচরণ করেন।এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার সম্পর্ক উন্নয়ন ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধি। সফরসঙ্গী ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু জনপ্রিয় শ্বেতাঙ্গ গলফার, যারা ছিলেন পারস্পরিক আস্থার বার্তা বহনকারী। তবে ট্রাম্প এক পর্যায়ে আলো কমিয়ে দিয়ে একটি ভিডিও উপস্থাপন করেন, যেখানে শ্বেতাঙ্গদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ তোলা হয়। এই ভিডিওকে প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরে তিনি রামাফোসাকে চ্যালেঞ্জ করেন।অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এমন বৈঠকে অংশ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা কতটা ছিল। জোহানেসবার্গের এক দোকানকর্মী সোবেলো মোথা বলেন, “আমরা জানি আমাদের দেশে শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা হচ্ছে না। এই সফর তাই অর্থহীন লেগেছে।”তবে দক্ষিণ আফ্রিকার সাংবাদিক রেবেকা ডেভিস মন্তব্য করেন, “প্ররোচনার মুখেও রামাফোসা যে ধৈর্য বজায় রেখেছেন, সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।” তিনি আরও বলেন, “তিনি জেলেনস্কির মতো পরিস্থিতিতে পড়েননি, সেটাই বড় কথা।”সামাজিক মাধ্যমে অনেকে এই কূটনৈতিক সংযমের প্রশংসা করেছেন। একজন লিখেছেন, “তিনি গোঁড়ামি ও মিথ্যার সামনে শান্ত ছিলেন।” আরেকজন মন্তব্য করেন, “আপনারা রামাফোসাকে পছন্দ করুন বা না করুন, কিন্তু এই মানুষটি ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের চেয়েও বেশি বিচক্ষণ।”রামাফোসার এই শান্ত আচরণ শুধু তাৎক্ষণিক বৈঠকের পরিবেশকেই নিয়ন্ত্রণে রাখেনি, বরং ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ আফ্রিকা সম্পর্কে একটি কূটনৈতিক ভিত্তি তৈরি করেছে—যা উভয় দেশের জন্যই ইতিবাচক বার্তা হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *