ঘরে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন কিশোর কুমার? যা বললেন ছেলে:

ডেস্ক রিপোর্ট :

খ্যাতিমান গায়ক ছিলেন কিশোর কুমার। জনপ্রিয় এই গায়কের কিছু আচার-আচরণের কারণেও লোকজন তাকে খামখেয়ালি মানুষ বলে চিহ্নিত করেছিলেন। শুধু তাই নয়, জানা যায়, কিশোর কুমার বাড়িতে কঙ্কাল ও মাথার খুলি রাখতেন। তবে অনেকেই কিশোর কুমারের বাড়িতে কঙ্কাল ও মাথার খুলি রাখার বিষয়টি বিশ্বাস করতেন না। তবে এ ঘটনা সত্যি। একবার গায়কের কঙ্কাল ও মাথার খুলি রাখার বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশও পেয়েছিল।সম্প্রতি ভিকি লালওয়ানির ইউটিউব চ্যানেলে এসেছিলেন কিশোর কুমারের ছেলে অমিত কুমার। বাবাকে নিয়ে প্রচলিত অনেক কথাই খোলাসা করেন তিনি।অমিত প্রথমেই জানান, সত্যি সত্যিই বাড়িতে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন কিশোর কুমার। অনেকের ধারণা, মানুষকে ভয় দেখাতেই এমনটা করতেন শিল্পী। তবে সাক্ষাৎকারে অমিত বলেন, তাদের বাড়িতে মাথার খুলি রয়েছে, যদিও সেটা কাউকে ভয় দেখানোর জন্য নয়।তিনি বলেন, ‘ওগুলো আমরাই এনেছিলাম। আমরা পূর্ব আফ্রিকার নাইরোবিতে শো করতে গিয়েছিলাম। বাবার শখ ছিল, এ রকম অ্যান্টিক টাইপের (প্রাচীন জিনিসপত্র) জিনিস সংগ্রহ করা। ফেরার পথে আমরা এগুলো নিয়ে এসেছিলাম, ওগুলো এখন ট্রাস্টের কাছে আছে।’অমিত জানান, কিশোর কুমার আফ্রিকান সংস্কৃতি ও সংগীত পছন্দ করতেন। তার গানে বিশ্ব সংস্কৃতিরও প্রতিফলন ঘটেছে। অমিত কুমারকে প্রশ্ন করা হয়, তার বাবার ভাবমূর্তি নিয়েও কথা হতো, অনেকে তাকে অহংকারী মানুষ বলতেন।অমিত এ বিষয়ে বলেন, ‘এগুলো সবই গুজব। উনি নিজেই নিজেকে নিয়ে মজা করতেন। বাবা (কিশোর কুমার) বলতেন, “আচ্ছা, পৃথিবী আমাকে পাগল বলে, আমি নিজেও তো বলি, এই পৃথিবী পাগল। যে আমাকে পাগল বলে, তাদের বলতে দাও। এটা খারাপ কিছু নয়।” বাবা ভাবতেন, সবাইকেই একদিন এই কঙ্কালের মতো হয়ে যেতে হবে।’একই সাক্ষাৎকারে অমিত কুমার চলচ্চিত্র প্রযোজক এস ডি নারাংয়ের সঙ্গে তার বাবার এক সাক্ষাতের গল্পও বলেন। কিশোর কুমার সম্পর্কে অদ্ভুত সব গল্প শুনে নারাং একবার তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বারবার মেঝেতে পা ঠুকছিলেন। কিশোর কুমার বিভ্রান্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কেন তিনি এটা করছেন। উত্তরে নারাং বলেন, ‘আমি শুনেছি, মেঝেটা তুমি তৈরি করেছ যা খুলে যায় এবং মানুষ ভেতরে পড়ে যায়; এটা একটা ফাঁদের দরজার মতো।’এ কথা শুনেই কিশোর কুমার হাসিতে ফেটে পড়েন এবং তাকে বলেন, এমন কিছুই নেই। ১৯৮৭ সালের ১৩ অক্টোবর মুম্বাইতে মারা যান কিশোর কুমার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *