এটা যুদ্ধাপরাধ ছাড়া আর কী?:

ডেস্ক রিপোর্ট :

গাজায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর কর্মকাণ্ডকে ‘ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ’ আখ্যা দিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্বীকার করেন, গাজায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে, তা তিনি আর খণ্ডন করতে পারছেন না।২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এহুদ ওলমার্ট। গাজায় চলমান যুদ্ধ, ব্যাপক প্রাণহানি এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশে দীর্ঘ সময়ের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা যদি যুদ্ধাপরাধ না হয়, তাহলে আর কী?’তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার উগ্রপন্থি জোটসঙ্গীদের বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করে বলেন, ‘তাদের কর্মকাণ্ডকে অন্য কোনোভাবে ব্যাখ্যা করা যায় না।’ওলমার্ট জানান, গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই তিনি ইসরাইলের অবস্থানকে সমর্থন করেছেন এবং গণহত্যার অভিযোগ খণ্ডন করে এসেছেন। তবে এখন আর সেই অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন তিনি। তার ভাষায়, ‘এই যুদ্ধ এক বছর আগেই শেষ হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। এখন এর পক্ষে আমি যুক্তি দিতে পারি না।’গত মঙ্গলবার ইসরাইলের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম হারেৎজ-এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধেও একই সুরে কথা বলেন ওলমার্ট। তিনি লেখেন, ‘আমরা এখন গাজায় যা করছি তা একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ—নির্বিচার, সীমাহীন এবং নিষ্ঠুর। বেসামরিক নাগরিকদের অপরাধমূলকভাবে হত্যা করা হচ্ছে।’সিএনএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, এই সরকার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরে যাবে। আমি বিশ্বাস করি, ইসরাইলিরা এই সরকারের নীতি, বিবৃতি এবং নৈতিক অখণ্ডতার ওপর যে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে, তাতে ক্লান্ত এবং বিরক্ত।’গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, যার মধ্যে অন্তত ২৮ হাজার নারী ও শিশু।অন্যদিকে, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, তারা এ পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *