গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রস্তাব:

ডেস্ক রিপোর্ট :

গাজায় ৬০ দিনের একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কাতারের মধ্যস্থতায় প্রস্তাবিত এই পরিকল্পনার আওতায় প্রথম সপ্তাহেই মুক্তি পেতে পারেন জীবিত ও মৃত মিলিয়ে ২৮ জন ইসরায়েলি জিম্মি। তাদের বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হবে ১,২৩৬ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দি ও ১৮০ জন নিহত ফিলিস্তিনির মরদেহ।রয়টার্স এক বিশেষ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে নিশ্চয়তা দিয়েছেন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, হামাস চুক্তিতে সম্মত হলে দ্রুতই গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো হবে, যা জাতিসংঘ, রেড ক্রিসেন্ট ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা যায়, ইসরায়েল ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবন্দি পরিবারের সঙ্গে বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইকভের মাধ্যমে চুক্তি গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।হামাসের অবস্থানহামাস জানিয়েছে, তারা মার্কিন এই প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করছে এবং শুক্রবার অথবা শনিবার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে। তবে সংগঠনটি আগেও জানিয়ে এসেছে, তারা ইসরায়েলের শর্তে পুরোপুরি নিরস্ত্র হতে রাজি নয়। তাদের দাবি, যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে ইসরায়েলকে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং সামরিক আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।পরিকল্পনার অন্যান্য দিকমার্কিন পরিকল্পনায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, চুক্তির পরবর্তী ধাপে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আওতায় হামাস আরও ৩০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং ইসরায়েল তাদের সামরিক অভিযান সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করবে। তবে ইসরায়েল এখনও হামাসকে পুরোপুরি নিরস্ত্র ও রাজনৈতিকভাবে অকার্যকর করার ওপর জোর দিয়ে যাচ্ছে।চলমান সংঘাতের পটভূমি২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১,২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়। এর পর থেকে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে।এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রায় ৫৪,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং গোটা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *