ইউরোপ জয় করা পিএসজির এক ফাইনালেই ১০ রেকর্ড:
ডেস্ক রিপোর্ট :
পিএসজির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ২০২৫ সালের সেই রাত। ইউরোপ সেরা হওয়ার যে স্বপ্ন তারা বহু বছর ধরে লালন করেছে, অবশেষে তা বাস্তবে রূপ নিল—তাও আবার রাজকীয় এক জয়ে। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ফরাসি জায়ান্টরা। এই দাপুটে জয়ে শুধু শিরোপাই নয়, ভেঙেছে একের পর এক রেকর্ড। এক ফাইনালেই দেখা গেছে অন্তত ১০টি নতুন ইতিহাস।১৬৮কাল চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে পিএসজি খেলেছে ১৬৮তম ম্যাচ (ইউরোপিয়ান কাপসহ), প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার আগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড এটি।১পিএসজির হয়ে ফাইনালে গোল করেছেন মাইয়ুলু (১৯) ও দেজিরে দুয়ের (১৯)। যা ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালে একাধিক টিনএজ খেলোয়াড়ের গোলের রেকর্ড।নবম ও প্রথমচ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের মাধ্যমে চলতি মৌসুমে ট্রেবল পূর্ণ হয়েছে পিএসজির। ইউরোপের নবম ক্লাব হিসেবে ট্রেবল জিতেছে দলটি আর ফরাসি দল হিসেবে এই কীর্তি প্রথম। ১৯৯৩ সালে মার্শেইয়ের চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পর দ্বিতীয় ফরাসি ক্লাব হিসেবে এই প্রতিযোগিতা জিতল পিএসজি।২লুইস এনরিকে ইউরোপিয়ান ক্লাবের হয়ে দুবার ট্রেবল জয়ী হওয়া মাত্র দ্বিতীয় কোচ। এর আগে ২০১৪-১৫ মৌসুমে বার্সেলোনার কোচ হিসেবে তিনি এই কীর্তি গড়েছিলেন। আর এই অর্জনে তাঁর সঙ্গে আছেন শুধু পেপ গার্দিওলা (বার্সেলোনা ২০০৮-০৯ এবং ম্যানচেস্টার সিটি ২০২২-২৩)।৫-০ফাইনালে ইন্টার মিলানকে পিএসজি হারিয়েছে ৫-০ ব্যবধানে। ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের ফাইনালের ইতিহাসে এর আগে কোনো দল ৫ গোলের ব্যবধানে জেতেনি।৩চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে প্রথম তিন গোলে অবদান রাখা একমাত্র ফুটবলার এখন পিএসজির দেজিরে দুয়ের। আশরাফ হাকিমিকে দিয়ে প্রথম গোলটি করানোর পর নিজে দুই গোল করেছেন এই ফরোয়ার্ড।রিয়ালের পর ইন্টারচ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ৫ গোল হজম করা প্রথম দল ইন্টার মিলান। সর্বশেষ এমন কিছু দেখা গেছে ১৯৬২ সালে, তখন চ্যাম্পিয়নস লিগের নাম ছিল ইউরোপিয়ান কাপ। সেই ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ৫-৩ গোলে হারিয়েছিল বেনফিকা।৩৫ বছরইন্টার মিলান চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের ইতিহাসে প্রথম দল, যারা তাদের শুরুর একাদশে ৩৫ বছর বা তার বেশি বয়সী তিনজন খেলোয়াড়কে একসঙ্গে মাঠে নামিয়েছে। সেই তিন ফুটবলার হলেন—ইয়ান সোমার, ফ্রানচেস্কো অ্যাকারবি এবং হেনরিখ মিখিতারিয়ান।১৯ বছর ৩৬২ দিনদেজিরে দুয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে অ্যাসিস্ট করা সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়। ১৯ বছর ৩৬২ দিন বয়সে তিনি এই কীর্তি গড়েন। গত বছরের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে খেলা জুড বেলিংহামের রেকর্ড ভেঙেছেন (২০ বছর ৩৩৮ দিন) দুয়ে।৯আশরাফ হাকিমির চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে গোলে অবদান আছে ৯টি (৪ গোল, ৫ অ্যাসিস্ট), যা একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ মৌসুমে কোনো ডিফেন্ডারের সর্বোচ্চ গোলে অবদানের যৌথ রেকর্ড। এর আগে ইয়ান হার্ট ২০০০-০১ মৌসুমে ৯টি গোল-অবদান রেখেছিলেন। হাকিমি ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালে নিজের সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল করা প্রথম খেলোয়াড়।