মাউন্ট এটনায় অগ্ন্যুৎপাতের তাণ্ডব:
ডেস্ক রিপোর্ট :
ইতালির বিখ্যাত আগ্নেয়গিরি মাউন্ট এটনা হঠাৎ করে প্রবল অগ্ন্যুৎপাত শুরু হলে সেখান থেকে শতাধিক পর্যটককে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগ্নেয়গিরির দক্ষিণ-পূর্ব ক্রেটারের উত্তর ফাল্গের আংশিক ধসের ফলে এই অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয় বলে জানিয়েছে ইতালির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব জিওফিজিক্স অ্যান্ড ভলকানোলজি।প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, হঠাৎ এক ‘বিস্ফোরণসদৃশ শব্দ’ শুনে আতঙ্কে পর্যটকরা নিচের দিকে দৌড়ে পালাতে শুরু করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ধোঁয়া, ছাই ও গরম গ্যাসে আকাশ ঢেকে গেছে। আগ্নেয়গিরির ওপর ২ কিলোমিটারেরও বেশি উঁচু একটি ছাইয়ের স্তম্ভ উঠে যায়।এক পর্যটক সিএনএনকে বলেন, ‘আমরা খুব কাছে ছিলাম। ধন্যবাদ আমাদের গাইডকে, দ্রুত নিচে নামতে পেরেছি। মুহূর্তের মধ্যে বিশাল শব্দ আর ধোঁয়া চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।’ঘটনার সময় গাইড আলেসিও জক্কো তার দল নিয়ে ভলকানোর কাছাকাছি ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এটি ছিল আকস্মিক ও ভয়ঙ্কর। কিন্তু সৌভাগ্যবশত, এটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।’ইতালির সিভিল প্রোটেকশন সংস্থা জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে থাকা সকল পর্যটককে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আগ্নেয়গিরির শিখরে ওঠা পর্যটকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সিসিলির আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট রেনাটো স্কিফানি সতর্কবার্তায় বলেন, ‘ভবিষ্যৎ অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কা থাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হচ্ছে।’অগ্ন্যুৎপাতের ফলে তিনটি লাভা প্রবাহ দেখা গেছে, তবে এখন সেগুলো ধীরে ধীরে ঠাণ্ডা হচ্ছে। তা ছাড়া, আগ্নেয়গিরির কম্পনও কমে এসেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।সিসিলির প্রধান শহর কাতানিয়া ও পালেরমো থেকে বিমান চলাচল এখনো চালু রয়েছে, যদিও কয়েকটি ফ্লাইট পালেরমোতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ছাই এখনো শহরের দিকে না আসায় সাধারণ মানুষ ঝুঁকিমুক্ত অবস্থায় রয়েছেন।মাউন্ট এটনা বিশ্বে অন্যতম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি হলেও ২০১৪ সালের পর এত বড় অগ্ন্যুৎপাত আর দেখা যায়নি। প্রতিবছর ১৫ লাখেরও বেশি পর্যটক এটনার শিখরে ওঠেন।