মায়ের জানাজায় অংশ নিতে প্যারোলে মুক্তি মেলেনি সাবেক এমপি আসাদের:

ডেস্ক রিপোর্ট :

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান মায়ের জানাজায় অংশ নিতে পারেননি। সোমবার রাতে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের গেটে মৃত মায়ের মুখ একনজর দেখার সুযোগ দেওয়া হয় তাকে, তবে প্যারোলে মুক্তির আবেদন নাকচ হয় নিরাপত্তাজনিত কারণে।৮০ বছর বয়সে সালেহা বেগম সোমবার বিকেলে মারা যান। মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর বড় ছেলে আসাদুজ্জামান প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানান জেলা প্রশাসকের কাছে। তবে অনুমতি মেলেনি। কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, মানবিক বিবেচনায় মায়ের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে জেলগেটে আনা হয়, সেখান থেকেই দূর থেকে তাকিয়ে শেষ দেখা হয় ছেলের।রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান জানান, ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়নি। তবে মানবিক কারণে জেলগেটে মরদেহ দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’পরিবারের সদস্যরা জানান, আসাদুজ্জামানের অন্য চার ভাই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় তারাও আত্মগোপনে রয়েছেন। এ কারণে কেউ জানাজায় অংশ নিতে পারেননি, এমনকি মায়ের মুখও শেষবার দেখতে পারেননি।তবে ছোট ভাই আক্তারুজ্জামান, যিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন এবং পেশায় একজন প্রাইভেট কারচালক, তিনি মায়ের মৃত্যুর পর বাড়িতে গিয়ে শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখতে পেরেছেন ও জানাজায় অংশ নিয়েছেন।সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় রাজশাহী মহানগরের মহিষবাথান গোরস্থানে জানাজা শেষে দাফন করা হয় সালেহা বেগমকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *