বৃষ্টির বাগড়াতেও থামবে না ঈদযাত্রা, প্রস্তুতি নিন সহজেই:

ডেস্ক রিপোর্ট :

শহরের ব্যস্ততাকে পেছনে ফেলে প্রতি বছরের মতো এবারের ঈদেও বাড়ির পথে যাত্রার সময়টা অনেকের জন্য বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত মুহূর্ত। তবে এ বছর ঈদযাত্রাটি বৃষ্টিতে কাটতে পারে। ঈদের আগে হাজারো মানুষ যখন রাজধানী ঢাকা বা বড় শহরগুলো থেকে বেরিয়ে যান গ্রামের পথে, তখন সড়ক, রেল ও নৌপথে চাপ তৈরি হয়। এ সময় একটি হালকা বৃষ্টি যেমন যাত্রাকে মনোরম করে তুলতে পারে, তেমনি ভারী বৃষ্টি যাত্রাকে রীতিমতো দুর্বিষহ করে তুলতে পারে।ঢাকার গাবতলী, মহাখালী বা সায়েদাবাদ টার্মিনাল প্রতিটি জায়গায় হাজারো যাত্রীর ভিড়। কেউ বাসে উঠছেন, কেউ ট্রেনে, কেউবা লঞ্চে। যদি হঠাৎ ঝুম বৃষ্টি নামে? ছাতা বা রেইনকোট না থাকলে ভিজে যাওয়া নিশ্চিত। এতে ঠান্ডা-জ্বর তো হতেই পারে, আবার বৃষ্টির পানিতে ভিজে ব্যাগের ভেতরের জামাকাপড়, মোবাইল, কাগজপত্রও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।তাই নিতে হবে কিছু পূর্ব প্রস্তুতি, যা আপনাকে বৃষ্টি থেকে রাখবে নিরাপদ-ছাতা বা রেইনকোটছাতা বা রেইনকোট আপনার ঈদযাত্রার গন্তব্যে পৌঁছানো সহজ করতে পারে। বিশেষ করে ট্রেন বা বাস টার্মিনালে দাঁড়িয়ে থাকতে হলে এটা খুব দরকারি।পলিথিন বা ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগ কাভারব্যাগ বা লাগেজের উপরে আলাদা করে পলিথিন দিয়ে মোড়ানো ভালো। বাজারে ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগ কাভারও পাওয়া যায়, যা বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া রোধ করবে।স্যান্ডেল নয়, জলরোধী জুতাযারা হাঁটতে হবে বলে স্যান্ডেল পরেন, তারা খেয়াল রাখবেন, জল জমে থাকলে স্যান্ডেল পিছলে যেতে পারে। বরং নন-স্লিপ জলরোধী জুতা বা ক্যাজুয়াল ট্র্যাক শু পরা ভালো।প্যাকিংয়ের সময় পরিকল্পনাভেতরের জামাকাপড় ও মূল্যবান জিনিসগুলো আলাদা করে পলিথিনে রেখে ব্যাগে রাখলে নিরাপদ থাকবে। বিশেষ করে মোবাইল চার্জার, ওষুধ, মূল্যবান কাগজপত্র ইত্যাদি।বৃষ্টি উপযোগী পোশাকহালকা সুতির জামা পরে যাত্রা করলে তাড়াতাড়ি শুকাবে, আর ভারী পোশাক ভিজলে কষ্ট বাড়ায়। তাই আবহাওয়া অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন করুন।তবে যারা প্রাইভেট গাড়ি বা মাইক্রোবাসে যাচ্ছেন, তারা যেন গাড়িতে ছোট একটি ছাতা, অতিরিক্ত তোয়ালে ও পলিথিন রাখেন। গাড়ি চলার সময় যদি হঠাৎ দরজা খুলে বৃষ্টি ঢুকে পড়ে বা বাইরে কোথাও থামতে হয়, তখন এগুলো কাজে আসে।বৃষ্টি মানেই শুধু ভোগান্তি নয়। বৃষ্টি অনেক সময় ঈদযাত্রায় এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। ট্রেনের জানালার পাশে বসে ঝিরঝিরে বৃষ্টি দেখা, লঞ্চে বসে দূরের আকাশে বৃষ্টির নাচন, বা বাসের জানালা দিয়ে বৃষ্টিভেজা সবুজ মাঠ সবই এক ধরনের প্রশান্তি এনে দেয়। তাই প্রস্তুতি থাকলে বৃষ্টিকে ভয় নয়, বরং উপভোগ্য করে তোলা যায়।প্রতিটি ঈদ মানেই পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার আনন্দ। কিন্তু এই আনন্দ যেন ভোগান্তির মধ্যে হারিয়ে না যায়, তাই নিজের নিরাপত্তা, আরাম ও স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তুতি নেয়া জরুরি। বৃষ্টি থাকবে, তবুও প্রস্তুতি থাকলে ঈদের যাত্রা হবে আরও রঙিন, নিরাপদ ও আনন্দময়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *