বিয়ে করলেই নাগরিকত্ব, যেসব দেশে রয়েছে এমন সুযোগ:

ডেস্ক রিপোর্ট :

বিশ্বায়নের এই যুগে অনেকেই শুধু নিজ দেশের নাগরিকত্বে সীমাবদ্ধ থাকতে চান না। ভিন্ন দেশের নাগরিকত্ব পাওয়া যেমন সম্মানের, তেমনি এটি খুলে দেয় চাকরি, ভ্রমণ ও বসবাসের নতুন সব দরজা। এর একটি জনপ্রিয় পথ হলো—বিয়ে। আধুনিক যুগে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে বন্ধুত্ব কিংবা প্রেম গড়ে ওঠা এখন খুবই সহজ। বিদেশে পড়াশোনা, কাজ কিংবা অনলাইনে পরিচয়ের সূত্রে অনেকেই পেয়ে যান জীবনসঙ্গী। আর সেই সূত্রেই মিলতে পারে নতুন দেশের নাগরিকত্ব।

পৃথিবীর বেশ কিছু দেশে এমন নিয়ম রয়েছে, যেখানে সে দেশের নাগরিককে বিয়ে করলেই বৈধভাবে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়—কোনো দেশে এটি সহজ, আবার কোথাও কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়। চলুন, এমন কিছু দেশের নাগরিকত্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে জেনে নিই।

স্পেনদক্ষিণ ইউরোপের স্পেনে নাগরিকত্ব পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ। স্প্যানিশ নাগরিককে বিয়ের পর এক বছর একসঙ্গে বসবাস করলেই নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। এর সঙ্গে থাকতে হবে বিয়ের বৈধ সনদ ও বাসস্থান সম্পর্কিত প্রমাণ। স্প্যানিশ ভাষায় মৌলিক দক্ষতা এবং দেশটির সংস্কৃতি সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞানও আবেদন প্রক্রিয়ায় সহায়ক।

কেপ ভার্ডপশ্চিম আফ্রিকার সৌন্দর্যে ঘেরা দ্বীপরাষ্ট্র কেপ ভার্ডের নাগরিককে বিয়ে করলে সঙ্গে সঙ্গে নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। এই প্রক্রিয়ায় দেশটিতে বসবাসের কোনো শর্ত নেই, বরং প্রক্রিয়াটি সহজ ও দ্রুত।আর্জেন্টিনাআর্জেন্টাইন নাগরিককে বিয়ে করলে মাত্র দুই বছর পর নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। এর জন্য প্রয়োজন হয় বৈধ বিয়ের কাগজপত্র, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত না থাকার প্রমাণ এবং স্প্যানিশ ভাষায় সাধারণ দক্ষতা।

মেক্সিকো

মেক্সিকোতে বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেতে হলে দেশটির নাগরিকের সঙ্গে দুই বছর একসঙ্গে বসবাস করতে হবে। আবেদন করতে লাগবে স্প্যানিশ ভাষার মৌলিক জ্ঞান, বিয়ের সনদ ও সহবাসের প্রমাণ। মেক্সিকোর আরেকটি সুবিধা হলো, নাগরিকত্বের পরও আপনি নিজের দেশের পাসপোর্ট রাখতে পারবেন।

তুরস্ক

তিন বছর একসঙ্গে বৈধ দাম্পত্য জীবন পার করলেই তুরস্কে নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। ভাষা বা সংস্কৃতি জানার শর্ত এখানে নেই। তুর্কি পাসপোর্ট থাকলে বিশ্বের ১১০টির বেশি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করা যায়।

সুইজারল্যান্ড

কঠোর অভিবাসন নীতির দেশ সুইজারল্যান্ডেও বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। একসঙ্গে তিন বছর থাকার পর পাঁচ বছর বসবাস করলেই নাগরিকত্বের আবেদন করা সম্ভব। যারা বিদেশে থাকেন, তাদের জন্য ছয় বছর বিবাহিত জীবন অতিবাহিত হলেই এই সুযোগ মিলতে পারে। তবে আবেদনকারীকে দেশটির ভাষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক ব্যবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রমাণ দিতে হয়।

বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়টি রোমান্টিক শোনালেও, প্রতিটি দেশেরই রয়েছে নির্দিষ্ট আইন ও নিয়ম-কানুন। তাই আগে থেকেই সব শর্ত জেনে নেওয়া জরুরি। আপনি যদি ভিনদেশে জীবন গড়ার কথা ভাবেন, তাহলে এই তালিকা হতে পারে আপনার পরিকল্পনার প্রথম ধাপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *