আইসিসির নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন:

ডেস্ক রিপোর্ট :

ক্রিকেটে দর্শকরা চার-ছক্কার পাশাপাশি অসাধারণ ক্যাচ দেখেও রোমাঞ্চিত হন। বিশেষ করে বাউন্ডারিতে নেওয়া কিছু বিতর্কিত ক্যাচ, যেখানে ফিল্ডাররা শূন্যে লাফিয়ে বল ছুড়ে বাউন্ডারির বাইরে গিয়ে আবার ভেতরে ফিরে এসে ক্যাচ সম্পূর্ণ করেন, তা এখন খুব নিয়মিত হয়ে উঠেছে। এবার আইসিসি এই ধরনের ক্যাচের উপর রাশ টানতে চলেছে এবং বাউন্ডারির কাছে ধরা ক্যাচের নিয়মে বড় পরিবর্তন এনেছে।আইসিসি তাদের নতুন প্লেয়িং কন্ডিশনে এই পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং এটি এই মাস থেকেই কার্যকর হবে। যদিও মের্লবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) এটিকে তাদের আনুষ্ঠানিক নিয়মে অন্তর্ভুক্ত করবে ২০২৬ সালের অক্টোবরে।নতুন ক্যাচিং নিয়ম কী?নতুন নিয়ম অনুসারে, এখন কোনো ফিল্ডার যদি বাউন্ডারির বাইরে থেকে শূন্যে থাকা অবস্থায় বলকে দু’বার বা তার বেশিবার স্পর্শ করেন, তবে সেই ক্যাচ বৈধ বলে গণ্য করা হবে না, বরং এটিকে ছক্কা ঘোষণা করা হবে। অর্থাৎ, এখন ফিল্ডার বাউন্ডারির বাইরে শূন্যে লাফিয়ে বলকে বারবার স্পর্শ করতে পারবেন না।এর সবচেয়ে আলোচিত উদাহরণ ছিল বিগ ব্যাশ লিগ ২০২৩-এ অস্ট্রেলীয় খেলোয়াড় মাইকেল নেসারের ক্যাচ। তিনি বাউন্ডারির বাইরে গিয়ে শূন্যে বলটি ধরেন, তারপর শূন্যে লাফিয়ে বাউন্ডারির ভিতরে এসে ক্যাচ সম্পূর্ণ করেন। তখন সেই ক্যাচ বৈধ বলে গণ্য করা হয়েছিল, কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী এমন ক্যাচ এখন অবৈধ হবে এবং ব্যাটারকে ৬ রান দেওয়া হবে।টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতীয় খেলোয়াড় সূর্যকুমার যাদবের বাউন্ডারি লাইনে নেওয়া অসাধারণ ক্যাচও সকলের মনে আছে। যদিও সূর্যকুমারের সেই ক্যাচ নিয়মের মধ্যে ছিল, কারণ তিনি বাউন্ডারি লাইনের বাইরে বলটিকে দু’বার শূন্যে স্পর্শ করেননি। তবে এখন এমন ক্যাচ নিয়েও আইসিসির নিয়ম আরও বেশি কঠোর হয়েছে।ওয়ানডে ম্যাচের নিয়মেও বড় পরিবর্তনআইসিসি শুধু ক্যাচিংয়ের নিয়মেই পরিবর্তন আনেনি, বরং ওয়ানডে ম্যাচেও একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন ৫০ ওভারের ইনিংসের প্রথম ৩৪ ওভার পর্যন্ত দু’টি নতুন বল ব্যবহার করা হবে, যেমনটা এতদিন হয়ে এসেছে। কিন্তু ৩৫তম ওভার থেকে ফিল্ডিং দলকে এই দু’টি বলের মধ্যে থেকে একটি বল বেছে নিতে হবে, এবং ইনিংসের বাকি ১৬ ওভার সেই একটি বল দিয়েই করতে হবে।কনকাশন বদলিতে নতুন নির্দেশনাসব ফরম্যাটেই কনকাশন বদলির ক্ষেত্রে এবার পাঁচটি নির্দিষ্ট ভূমিকায় বিকল্প খেলোয়াড়ের নাম ম্যাচ শুরুর আগেই ম্যাচ রেফারিকে জানাতে হবে। এই ভূমিকাগুলো হলো: ১ জন উইকেটকিপার১ জন ব্যাটার১ জন পেসার১ জন স্পিনার১ জন অলরাউন্ডারএটি করা হয়েছে যেন আগামভাবে ভূমিকাভিত্তিক বদলি নির্ধারিত থাকে এবং বিতর্ক এড়ানো যায়। এই বছর জানুয়ারিতে ভারতের শিভম দুবের জায়গায় হর্ষিত রানাকে কনকাশন বদলি হিসেবে নামানো নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছিল, কারণ দুবে ছিলেন ব্যাটিং অলরাউন্ডার, আর হর্ষিত মূলত পেসার। নতুন নিয়মে এমন পরিস্থিতি এড়ানো যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।তবে, যদি কোনো বদলি খেলোয়াড়ও চোট পেয়ে কনকাশনের শিকার হন, তখন নিয়ম অনুযায়ী ‘লাইক ফর লাইক’ ভিত্তিতে পাঁচজনের বাইরে থেকেও একজনকে অনুমতি দিতে পারবেন ম্যাচ রেফারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *