দুর্বল শরীরকে চাঙ্গা করবে যেসব খাবার :

ডেস্ক রিপোর্ট :

অনেকেই ভাবেন, তিন বেলা পেটভরে খেলে শরীর আপনাআপনি শক্তিশালী হয়ে উঠবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। অনেক সময় ভারী খাবার খাওয়ার পরও শরীরে দুর্বলতা অনুভব হয়, কাজে মন বসে না, থাকে অবসাদ। চিকিৎসকদের মতে, কেবল পরিমাণে বেশি খেলেই হবে না—শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবার খাওয়াই সবচেয়ে জরুরি।শরীরকে শক্তিশালী করে তুলতে হলে চাই সুষম ও বিষমুক্ত খাবার। প্রোটিন, আমিষ, ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ কিছু নির্দিষ্ট খাবার নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে শারীরিক সক্ষমতা ও প্রাণশক্তি বাড়ানো সম্ভব। মাছ-মাংস ছাড়াও এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা শরীরের শক্তি ও স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।চলুন, স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথলাইন-এর তথ্য অনুযায়ী জেনে নিই, কোন কোন খাবার আমাদের শরীরকে আরও বেশি শক্তিশালী করে তুলতে পারে।সতেজ মৌসুমি ফল ও সবজি : খাদ্য তালিকায় সবসময় এমন কিছু খাবার রাখার চেষ্টা করবেন যাতে পুষ্টির পরিমাণ বেশি থাকবে। নিয়মিত মৌসুমি বিভিন্ন ফলমূল রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়। চেষ্টা করতে হবে ফল যেন সতেজ থাকে এবং বিষমুক্ত থাকে। ঠিক একইভাবে সতেজ ও বিষমুক্ত সবজি রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়।প্রসেসিং ফুড এড়িয়ে চলা : প্রসেসিং ফুড বা প্রক্রিয়াজাত করা খাবার সবসময় এড়িয়ে চলতে হবে। চিজ বার্গার কিংবা ফ্রাই যখন খেয়ে থাকেন, তখন স্বস্তিদায়ক মনে হতে পারে। কিন্তু এসব খাবারে পুষ্টির মান খুব কম। প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন প্যাকেটজাত বা টিনজাত খাবার, বক্সযুক্ত খাবার, পূর্বে রান্না করে রাখা মাংস সাধারণত প্রিজারভেটিভ, অ্যাডিটিভ, সোডিয়াম, ট্রান্স ফ্যাট এবং কৃত্রিম উপাদানে পূর্ণ থাকে। যা শরীরকে ধীর করে দেয়।চর্বিহীন প্রোটিন : চর্বিযুক্ত লাল মাংস ডায়েটে স্যাচুরেটেড ফ্যাট যোগ করে। চিকেন, টার্কি এবং মাছের মতো চর্বিযুক্ত মাংস মানসম্পন্ন প্রোটিন সরবরাহ করে। তবে কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ যেমন স্যামন, টুনা এসব খেতে পারেন। এসব শরীরের জন্য উপকারী।বাদাম এবং বীজ : ক্লান্তি দূর করার জন্য এবং ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাদাম এবং বীজ সেরা খাবার। খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজ রাখা স্বাস্থ্যকর। যা শরীরে পুষ্টি ও শক্তি প্রদান করতে পারে। কাজু বাদাম, হ্যাজেলনাট, পেকান, আখরোট, সূর্যমুখী বীজ ও কুমড়ার বীজ খেতে পারেন। প্রয়োজনে কাঁচা লবণহীন সংরক্ষণ করে খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।শস্যদানা এবং কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট : প্রক্রিয়াজাত খাবারের মতো চিনি এবং সাদা ময়দা সামান্য পরিমাণে পুষ্টি যোগায়। তবে আপনাকে শস্যদানা এবং কমপ্লেক্স কার্বেবোহাইড্রেট বেছে নিতে হবে। যা আপনার খাদ্যে ফাইবার যোগ করে। বিভিন্ন শস্য যেমন চাল, ডাল, ভুট্টা, সয়াবিন, বিনস ও কড়াইশুঁটি থেকে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়।পানি : শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় হচ্ছে পানীয় পানি। পানি ক্যালোরি আকারে শক্তি সরবরাহ করে না, তবে এটি শরীরে শক্তিশালী প্রক্রিয়াগুলোকে সহজতর করতে সহায়তা করে। এছাড়া শরীর সুস্থ রাখতেও অপরিহার্য।কলা : কলা শরীরের জন্য কার্যকর অবদান রাখে। কলায় পটাসিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন ও কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। যা প্রাকৃতিক শক্তির একটি বড় উৎস।ভিটামিন এবং সম্পূরক খাবার : প্রতিদিনের খাবার থেকে যদি প্রয়োজনীয় সব উপাদান না পান, তাহলে ভিটামিন গ্রহণের কথা বিবেচনা করতে পারেন। একজন পুষ্টিবিদ বা হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করলে পুষ্টিকর পরিপূরক খাদ্য তালিকা সম্পর্কে জানতে পারবেন।ওটস : এটি শুধু সকালের নাশতার জন্য নয়। এক বাটি ওটসে ফাইবার ও সামান্য পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এটি খাওয়ার ফলে আপনাকে শক্তি প্রদান করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *