‘মৃত ব্যক্তি’ জীবিত ফিরে এলেন, অতঃপর…:
ডেস্ক রিপোর্ট :
মৃত ভেবে দাফনের প্রস্তুতি—সব আয়োজন সম্পন্ন। খোঁড়া হয়েছে কবর, পড়ানো হয়েছে জানাজাও। ঠিক সেই মুহূর্তে খবর এলো—যাকে মৃত ভেবে দাফন করা হচ্ছে, তিনি জীবিত আছেন! এমন অবিশ্বাস্য ঘটনার সাক্ষী হলেন সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার মানুষ। পুরো এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য ও হতবাক পরিস্থিতি।রোববার (২২ জুন) সকালে উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি। পরে তার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্রাহ্মণগ্রামের বাসিন্দা বাবুল আহমদ মরদেহ দেখে সেটিকে তার ভাই সাবু আহমদ (৫৫) বলে শনাক্ত করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশটি তার কাছে হস্তান্তর করা হয়।শনিবার রাতে বাবুল আহমদ ও তাদের মামাতো ভাই উজির উদ্দিন মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন। শনিবার সকালে দাফনের প্রস্তুতির সময় গোসলের ঠিক পরপরই গঙ্গাজল এলাকা থেকে এক ব্যক্তি ফোন দিয়ে জানান, সাবু আহমদ জীবিত এবং তিনি গঙ্গাজল বাজারে অবস্থান করছেন। বিষয়টি জানার পর উজির উদ্দিন গঙ্গাজল বাজারে গিয়ে সত্যি তার ভাই সাবুকে জীবিত দেখতে পান।উজির উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, শুধু তাদের পরিবার নয়, যারা লাশটি দেখেছেন, সবাই বলেছিলেন, এটা সাবু আহমদ।কিন্তু মূলত তাদের ভাই বেঁচে ছিলেন। তিনি ভবঘুরে অবস্থায় ঘোরাফেরা করতে করতে গঙ্গাজল এলাকায় গিয়েছিলেন। এরপর তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে নিহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ফিরিয়ে দিতে গেলে সেটি আর নিতে চাননি। এরপর দুপুরে স্থানীয় এতিছানগর কবরস্থানে তারাই নিহত ব্যক্তির লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেছেন।তিনি বলেন, তাদের ভাই সাবু আহমদ গতকাল রাতেও বাড়িতে ছিলেন। আজ সোমবার সকালে আবার বাড়ি থেকে বের হয়েছেন।সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শামীম আহমদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ওই ব্যক্তির লাশকে ভুল করে সাবু আহমদ ভেবে বাড়িতে আনা হয়েছিল। পরে দেখা যায়, সাবু আহমদ বেঁচে আছেন। বিষয়টি এলাকায় বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির দাফনের ব্যবস্থাও তারাই করেছেন।জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ ছিল, এমন তথ্য পুলিশকে জানানো হয়েছিল। তবে পুলিশ নিহত ব্যক্তির মরদেহ নিতে গেলে জানানো হয়, পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।