স্ত্রীর লাথির আঘাতে স্বামীর মৃত্যু:

ডেস্ক রিপোর্ট :

পাবনার সুজানগরে বিশেষ অঙ্গে স্ত্রীর লাথির আঘাতে স্বামী সবুজ হোসেন (২৬) নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোববার স্ত্রী আমেনা খাতুন আন্নাকে (২০) গ্রেপ্তার করে পাবনা আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।সোমবার (২৩ জুন) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান।নিহত সবুজ হোসেনের বাড়ি উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের বোনকোলা গ্রামে। গ্রেপ্তারকৃত আমেনা খাতুন আন্না সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের জোড়পুকুরিয়া গ্রামের আমিন সরদারের মেয়ে। এ ব্যাপারে নিহতের চাচাতো ভাই রিফাতুল ইসলাম শনিবার রাতে বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে সবুজ হোসেনের সঙ্গে আমেনা খাতুন আন্নার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মাঝে মধ্যে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার ঘটনা ঘটতো। দাম্পত্য জীবনে তাদের মোছা. আছিয়া খাতুন নামে ১৫ মাস বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ১৫ দিন আগে স্ত্রী আমেনা খাতুন আন্না তার বাবার বাড়ি বেড়াতে যান। পরে গত ১৮ জুন রাতে বুধবার স্ত্রী ও কন্যাকে দেখতে শ্বশুর বাড়ি জোড়পুকুরিয়া যান সবুজ। সেদিন রাতে তাদের মধ্যে আবারও ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী আমেনা খাতুন স্বামী সবুজের অণ্ডকোষে লাথি মারেন। এ সময় স্বামী সবুজ হোসেন বিছানাতেই প্রাণ হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন। পরে ১৯ জুন পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ বিষয়ে সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বামী সবুজ হোসেনের অণ্ডকোষে লাথি মেরে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন স্ত্রী আমেনা খাতুন আন্না। স্বামী নেশাগ্রস্ত হয়ে তার কাছে যায় এবং তাকে নির্যাতন করায় তিনি এ ঘটনাটি ঘটিয়েছেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন আমেনা খাতুন আন্না। পরে অভিযুক্ত স্ত্রী আমেনা খাতুন আন্নাকে গ্রেপ্তার করে রোববার আদালতে পাঠানো হয়। আর মাতৃদুগ্ধ পান শিশুর অধিকার তাই আমেনা খাতুনের আবেদনের প্রেক্ষিতে তার ১৫ মাসের দুগ্ধ শিশুকেও তার সঙ্গে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *