কানাডার ওপর চটেছেন ট্রাম্প, বন্ধ করলেন বাণিজ্য আলোচনা:
ডেস্ক রিপোর্ট :
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার কানাডার সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনা হঠাৎ করেই স্থগিত ঘোষণা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, কানাডার ডিজিটাল সার্ভিস ট্যাক্স যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ‘সরাসরি ও নগ্ন আক্রমণ।’ট্রাম্প বলেছেন, এই করের প্রতিক্রিয়ায় আগামী সাত দিনের মধ্যে কানাডার পণ্যের ওপর নতুন শুল্কহার ঘোষণা করবেন তিনি।Truth Social-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘এই ভয়াবহ কর আরোপের কারণে, আমরা এখন থেকেই কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করছি।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের জানিয়ে দেব, আমাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে হলে তারা কী শুল্ক দিতে বাধ্য থাকবে।’এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন করে উত্তেজনার দিকে ঠেলে দিল, যেখানে এর আগে জুনের মাঝামাঝি G7 সম্মেলনে ট্রাম্প ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি একটি নতুন অর্থনৈতিক চুক্তি ৩০ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত করার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছিলেন।কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘কানাডা সরকার তার শ্রমিক ও ব্যবসার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই জটিল আলোচনা চালিয়ে যাবে।’কী নিয়ে বিরোধ?বিরোধের মূল বিষয় কানাডার নতুন ডিজিটাল সার্ভিস ট্যাক্স, যা আগামী সোমবার থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। এই কর অনুযায়ী, Amazon, Meta, Google, Apple-এর মতো বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে কানাডার ব্যবহারকারীদের থেকে প্রাপ্ত $২০ মিলিয়নের বেশি ডিজিটাল রাজস্বের ওপর ৩% হারে কর দিতে হবে। এই কর ২০২২ সাল থেকে কার্যকর ধরা হবে, অর্থাৎ পিছনে ফিরে কর আদায় করা হবে।যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া ও সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থামার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, এই করের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর আনুমানিক ক্ষতি $২ বিলিয়ন, এবং USTR (মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি) এই ট্যাক্সের বিরুদ্ধে Section 301 তদন্ত শুরু করতে পারে, যা ভবিষ্যতে প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের পথ খুলে দেবে।ট্রাম্পের এই ঘোষণা বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করলেও সপ্তাহ শেষে S&P 500 ও Nasdaq রেকর্ড উচ্চতায় বন্ধ হয়। তবে আমদানির শুল্কনীতি ঘনঘন পাল্টানো এবং বাণিজ্য সম্পর্কের টানাপোড়েন ভোক্তা ব্যয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।