‘৩০ হাজার টাকার শুল্ক জমা দিতে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ’

অপরাধ ১ মে ২০২৫

‘৩০ হাজার টাকার শুল্ক জমা দিতে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ’:

ডেস্ক রিপোর্ট: বস্ত্র খাতে আমদানি ও ছাড়পত্র প্রক্রিয়ায় ঘুষের সংস্কৃতি এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অভিযোগ তুলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)কে গঠনমূলকভাবে সম্পদ ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ। বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এনবিআর ও এফবিসিসিআই আয়োজিত বাজেট–সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটির ৪৫তম সভায় বক্তব্যকালে তিনি বলেন, ‘আগে যন্ত্রাংশ আমদানির পর বিটিএমএ নিজেই ছাড়পত্র দিতো, তখন জটিলতা ছিল না। কিন্তু এনবিআর এ দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতিটি ধাপে ঘুষ দিতে হচ্ছে। ৩০ হাজার টাকার শুল্ক জমা দিতে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়—এটা কল্পনাতীত।’ শওকত আজিজ বলেন, ‘এনবিআরের উচিত নিজের সম্পদ ও ক্ষমতা ব্যবসাবান্ধব ও গঠনমূলক কাজে ব্যবহার করা। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ব্যবসার গতিকে শ্লথ করে দিচ্ছে।’ বিটিএমএ সভাপতি একই পণ্যের একাধিক এইচএস কোড থাকার বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘এতে ব্যবসায়ীরা বিভ্রান্ত হন এবং অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য শাস্তির মুখোমুখি হন। একটি পণ্যের জন্য একটি নির্দিষ্ট কোড নির্ধারণ করলে সমস্যার অবসান ঘটবে।’ বস্ত্র খাতে কর হারের বৈষম্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘যেভাবে তৈরি পোশাক খাতে ১২ শতাংশ কর নির্ধারণ করা হয়েছে, বস্ত্র খাতেও একই হারে কর আরোপ করা উচিত। কারণ, বস্ত্র ও পোশাক খাত পরস্পরের পরিপূরক। একটির উন্নয়ন আরেকটিকে প্রভাবিত করে’ শিল্পবান্ধব পরিবেশ গড়ার লক্ষ্যে শওকত আজিজ বলেন, ‘শুধু নীতির কথা বললেই চলবে না, বাস্তবায়নেও স্বচ্ছতা ও সহজীকরণ নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে দেশে উৎপাদন বাড়বে, কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।’

ট্যাগ