উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন কিনা যেসব লক্ষণে বুঝবেন:

ডেস্ক রিপোর্ট:

উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন (Hypertension) সাধারণত কোনো সুস্পষ্ট লক্ষণের মাধ্যমে প্রকাশ পায় না। তবে, কিছু ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের কারণে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এটি একটি নীরব ঘাতক এবং স্ট্রোক, হৃদরোগ, কিডনি রোগ এবং অন্যান্য গুরুতর রোগের জন্য একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ। পরিসংখ্যান অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যার উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তবে অনেকেই তা জানেনও না। এর সঙ্গে সম্পর্কিত স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো প্রতিরোধ করার জন্য প্রাথমিক সতর্কতা সংকেত সনাক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও উচ্চ রক্তচাপ সাধারণত একটি নীরব সমস্যা, তবে কিছু লক্ষণ আপনাকে এটি সনাক্ত করতে সাহায্য করবে।

১. মাথা ঘোরামাথা ঘোরার সমস্যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শরীরের রক্ত সঞ্চালনের উপর চাপের ইঙ্গিত দেয়। উচ্চ রক্তচাপ বিভিন্ন অঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ কমিয়ে দিতে পারে, যার ফলে ক্লান্তি বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা পারে। উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে মাথা ঘোরা একটি পরিচিত লক্ষণ।

২. ঘন ঘন মাথাব্যথাদীর্ঘস্থায়ী এবং কোনো কারণ ছাড়াই মাথাব্যথা হলে তা উপেক্ষা করা উচিত নয়। মাথাব্যথা, বিশেষ করে সকালে, উচ্চ রক্তচাপের সংকেত দিতে পারে। এই মাথাব্যথা ওষুধ খাওয়ার পরেও অব্যাহত থাকতে পারে। এর কারণ হলো উচ্চ রক্তচাপ মস্তিষ্কের রক্তনালীগুলোতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। যদি মাথাব্যথা বারবার হয়, তাহলে আপনার অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

৩. দৃষ্টিশক্তি পরিবর্তনদৃষ্টিশক্তি পরিবর্তন উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ। ঝাপসা দৃষ্টি, দ্বিগুণ দৃষ্টি বা হঠাৎ দৃষ্টি হ্রাসের মতো সমস্যা হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথি নির্দেশ করতে পারে। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে উচ্চ রক্তচাপ রেটিনার রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। চিকিৎসা না করা হলে উচ্চ রক্তচাপ স্থায়ী দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার কারণ হতে পারে।

৪. শ্বাসকষ্টউচ্চ রক্তচাপের আরেকটি প্রধান লক্ষণ হলো শ্বাসকষ্ট। শারীরিক পরিশ্রম ছাড়াই শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তা উচ্চ রক্তচাপের জন্য একটি সতর্ক সংকেত হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ হৃদপিণ্ডকে অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য করে, যার ফলে ফুসফুসে তরল জমা হতে পারে।

৫. বুকে অস্বস্তিবিশেষ করে বিশ্রাম বা হালকা কাজের সময়ও যদি বুকে ব্যথা বা টানটান ভাব অনুভব করেন তাহলে তা একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা সংকেত। উচ্চ রক্তচাপ হৃদপিণ্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা এনজাইনা বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। বুকের অস্বস্তি কখনোই উপেক্ষা করা উচিত নয়, কারণ এটি হৃৎপিণ্ডে রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়ার ইঙ্গিত দিতে পারে। যদি বুকের ব্যথা তীব্র হয় সেইসঙ্গে ঘাম, বমি বমি ভাব বা বাহুতে ব্যথা থাকে তাহলে আপনার অবিলম্বে সাহায্য নেওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *