জাতীয় কবির জন্মদিনে শ্রদ্ধা আর স্মরণে ‘নজরুলজয়ন্তী’ উদযাপন:
ডেস্ক রিপোর্ট :
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে ‘নজরুলজয়ন্তী’। এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে-‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান: কাজী নজরুলের উত্তরাধিকার’, যেখানে উঠে এসেছে বিদ্রোহী কবির সমাজ পরিবর্তনের ডাক এবং গণসচেতনতামূলক লেখার প্রাসঙ্গিকতা।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে শায়িত আছেন এই বাঙালির গৌরব, জাতীয় কবি। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আয়োজন করে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি।সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সমবেত হন অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে। পরে সকাল সাড়ে ছয়টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা কবির সমাধির উদ্দেশে রওনা হয়। সমাধিতে পৌঁছে তারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং ফাতেহা পাঠের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান এই মহৎ সাহিত্যিককে।এ সময় উপাচার্য বলেন, একনেকে অনুমোদন হলে কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি সম্মান জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের নামকরণ করা হবে।জাতীয় কবিকে স্মরণ করে তার সমাধিস্থলে অনুষ্ঠিত হয় এক স্মরণসভা, যেখানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এতে অংশ নেন কবিপরিবারের সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাহিত্যপ্রেমীরা।বক্তারা বলেন- কাজী নজরুল ইসলাম শুধু বিদ্রোহের কবি নন, তিনি ছিলেন সব্যসাচী সাহিত্যিক। সাম্য ও শান্তির আদর্শকে তিনি জীবনের সর্বক্ষেত্রে তুলে ধরেছেন।
জাতীয় কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা অনুরাগীরাও তার কবিতা, গান ও দর্শনের আবেদন নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।