পারমাণবিক ইস্যুতে বড় ঘোষণা ইরানের, বিশ্ব অঙ্গনে নতুন উত্তেজনার শঙ্কা:
ডেস্ক রিপোর্ট :
ইরান ঘোষণা দিয়েছে, তারা এখন পারমাণবিক প্রযুক্তিতে পূর্ণ সক্ষমতা অর্জন করেছে। দেশটির পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ এসলামি এই অর্জনকে একটি “কৌশলগত ও ক্ষমতায়নকারী সাফল্য” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।মেহের নিউজ এজেন্সির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।এসলামি জানান, ইরান এখন পরমাণু জ্বালানি চক্রের প্রতিটি ধাপে দক্ষতা অর্জন করেছে। তিনি বলেন, “এই অর্জন পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।”তিনি আরও বলেন, পারমাণবিক প্রযুক্তি কেবল বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নয়, বরং এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির কেন্দ্রবিন্দু। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ছাড়া যেমন জ্বালানি উৎপাদন সম্ভব নয়, তেমনি জ্বালানি ছাড়া পারমাণবিক শিল্প অচল—এই বাস্তবতা তুলে ধরেন তিনি।এসলামি অভিযোগ করেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি থামাতে দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমা শক্তিগুলো নানা কৌশলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। নিষেধাজ্ঞা, নাশকতা ও এমনকি সন্ত্রাসবাদ পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। “তবুও আমরা পিছু হটিনি,” বলেন এসলামি।তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো চায় ইরান পারমাণবিক বিদ্যুৎ ব্যবহার করুক, তবে জ্বালানির জন্য যেন তাদের ওপর নির্ভর করতে হয়। “এই দ্বিমুখী নীতি আমরা কখনোই গ্রহণ করিনি। আমাদের লক্ষ্য স্বাধীনতা এবং আত্মনির্ভরতা,” যোগ করেন তিনি।বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের এই ঘোষণাটি যদি বাস্তবসম্মত হয়, তবে তা এক বড় ধরনের কূটনৈতিক ও প্রযুক্তিগত অর্জন হিসেবে বিবেচিত হবে। ভবিষ্যতের আন্তর্জাতিক আলোচনায় তেহরান এর ফলে আরও শক্ত অবস্থানে থাকতে পারবে।ইরান অবশ্য জোর দিয়ে বলেছে, তাদের পারমাণবিক প্রযুক্তি কেবল শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবে। তবে পশ্চিমা দেশগুলোতে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। তেহরান জানিয়েছে, প্রযুক্তিগত পথে আর কোনো বাধা তারা মেনে নেবে না।এই প্রেক্ষাপটে ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।