ইরানে ইসরায়েলের হামলার পর একযোগে যা বলছে আরব বিশ্ব:
ডেস্ক রিপোর্ট :
ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলার প্রেক্ষাপটে একাধিক আরব দেশ কঠোর ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এ নিন্দা বার্তা কেবল নৈতিক অবস্থান নয় বরং এই সংকটময় পরিস্থিতিতে নিজ নিজ দেশকে সম্ভাব্য প্রতিশোধের ঝুঁকি থেকে দূরে রাখার কৌশল হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
সৌদি আরব বলেছে, ‘ভ্রাতৃপ্রতিম ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ওপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে রাজতন্ত্র।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই আগ্রাসন বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বড় দায়িত্ব রয়েছে।
যদিও ইরান-সৌদি সম্পর্ক অতীতে বৈরিতাপূর্ণ ছিল, সম্প্রতি দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত, যারা ২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে, এ হামলাকে ‘চরমভাবে নিন্দনীয়’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
কাতার, যাদের ওপর হামাসকে সমর্থনের অভিযোগ রয়েছে, বলেছে, ‘ইরানের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার উপর সরাসরি আঘাত হেনেছে ইসরায়েল।’
কাতারে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় মার্কিন ঘাঁটি অবস্থিত এবং আমিরাতে হাজার হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন থাকায়—এই দুই দেশও সম্ভাব্য পাল্টা প্রতিশোধের ঝুঁকিতে রয়েছে।
ওমান যারা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান আলোচনার মধ্যস্থতাকারী, বলেছে, ‘এই হামলা চরম বেপরোয়া ও সংবেদনশীল সময়ে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ওপর আঘাত।’
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম বলেন, ‘এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও ইরানের সার্বভৌমত্বের চরম লঙ্ঘন। এর প্রতিক্রিয়া শুধু অঞ্চল নয়, পুরো বিশ্বব্যবস্থার স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।’