নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কার চায় এনসিপি:
ডেস্ক রিপোর্ট :
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, আমরা শুরু থেকেই বলে এসেছি— বিচার ও সংস্কার নির্বাচনের আগে সম্পন্ন করতে হবে। কোনোভাবেই পরবর্তী সংসদের হাতে সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। কোন পদ্ধতিতে সংস্কার হবে তা আলোচনা সাপেক্ষ।
শুক্রবার লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতির পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, কী পদ্ধতিতে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। এর আগেই প্রধান উপদেষ্টার গণভোটের প্রস্তাব খারিজ করা হয়েছে—এটা ভালো কিছু নয়। এতে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে।নির্বাচনের আগে সংস্কার হতে হবে উল্লেখ করে সারোয়ার তুষার বলেন, নির্বাচিত সংসদের হাতে সংস্কার বাস্তবায়নের একটিও ঐতিহাসিক কিংবা পদ্ধতিগত কারণ নাই। সংসদ সংস্কার করবে না; সংসদ গঠিত হবে সংস্কারের ভিত্তিতে। এটাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক নিয়তি।নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা না থাকায় এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাবিত গণভোট বাতিলের সিদ্ধান্তে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সারোয়ার তুষার।
তিনি বলেন, এছাড়াও জুলাই ঘোষণা ও সনদকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং বাস্তবায়নের আইনি বাধ্যবাধকতা তৈরি করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইসি পুনর্গঠন করতে হবে। উল্লিখিত বিষয়সমূহ নিশ্চিত হওয়ার ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনের মাস নিয়ে আলোচনা ও সমঝোতার এ উদ্যোগ আদৌ কোনো অর্থ বহন করে কি না।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে আগামী বছরের রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এ সময় আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার কথা জানিয়ে ড. ইউনূস বলেছেন, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।