শান্ত-মুশফিকের ১৩৭ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ:

ডেস্ক রিপোর্ট :

নতুন আশার আলো জ্বেলে শ্রীলঙ্কা সফর শুরু করলেও সিরিজের প্রথম টেস্টের শুরুটা একেবারেই সুখকর হয়নি বাংলাদেশের জন্য। গল টেস্টের প্রথম দিন মাত্র ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে আবারও সেই পুরোনো ব্যাটিং বিপর্যয়ের শঙ্কায় পড়ে টাইগাররা। তবে চতুর্থ উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের দৃঢ় জুটিতে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে দল।চা-বিরতির আগপর্যন্ত ৩ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৮২ রান। শান্ত ও মুশফিক দু’জনেই তুলে নিয়েছেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি।মঙ্গলবার (১৭ জুন) গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। তবে শুরুটা ছিল হতাশাজনক। দলীয় ৫০ রানের আগেই সাজঘরে ফিরে যান তিন শীর্ষ ব্যাটার। এ অবস্থায় দলকে টানেন শান্ত ও মুশফিক। দু’জন মিলে গড়েন ১৩৭ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ।চা বিরতির সময় শান্ত ১৪৩ বলে ৭টি চারে ও ১টি ছক্কায় ৭০ রানে অপরাজিত আছেন। অপরপ্রান্তে মুশফিক ১১১ বল খেলে ৪টি চারে ৬৬ রানে অপরাজিত।অনেকটা ফ্ল্যাট উইকেটেও শুরুতে অভিষিক্ত বোলার থারিন্দু রত্ননায়েকের বলে বাংলাদেশের দুই ব্যাটার সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হক স্লিপে ক্যাচ দেন। আরেক ব্যাটার এনামুল হক বিজয় পেসার আসিথা ফার্নান্দোর বলে এজ হয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে থাকা কুশল মেন্ডিসের হাতে। ১০ বলেও রানের খাতা খুলতে না পারা বিজয়ের উইকেট দিয়ে শুরুটা হয় টাইগারদের। দলীয় মাত্র ৫ রানেই তারা প্রথম উইকেট হারায়।সাদমান ও মুমিনুল দেখেশুনে খেলতে থাকলেও পা হড়কান থারিন্দুর লেংথে ফেলা বলে। এই জুটিতে ৩৪ রান পায় বাংলাদেশ। মুমিনুল ২৯ এবং সাদমান ১৪ রান করেছেন। এমতাবস্থায় বাংলাদেশকে বিপদ থেকে টেনে তুলতে কার্যকর জুটি প্রয়োজন ছিল। সেই চাহিদাই পূরণ করেছেন শান্ত-মুশফিক। ফলে প্রথম সেশনে ২৮ ওভারে ৩ উইকেটেই ৯০ রান তোলে বাংলাদেশ। এরপর চা বিরতিতে যাওয়ার আগে তারা ৩০ ওভারে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৯২ রান যোগ করেন।শান্ত নিজের ষষ্ঠ টেস্ট ফিফটি পূর্ণ করেছেন ৪৮তম ওভারে। এর মাঝেই মুশফিকের সঙ্গে তিনি জুটিকে ম্যাজিক ফিগারে পরিণত করেন। পরের বলে মুশফিকও পয়েন্টে একটি সিঙ্গেল নিয়ে ২০২৪ সালের আগস্টের পর টেস্টে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেন। টেস্টে এটি তার ২৮তম ফিফটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *