দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরের আগে যে বার্তা দিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরের আগে যে বার্তা দিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট:
ডেস্ক রিপোর্ট: চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরের প্রাক্কালে বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শুল্ক যুদ্ধ কিংবা বাণিজ্য যুদ্ধের কোনো বিজয়ী নেই, এবং সংরক্ষণবাদ কোনো সমাধান নয়।’ সোমবার ভিয়েতনাম সফরের আগে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র নাহান দান-এ লেখা একটি নিবন্ধে শি জিনপিং বলেন, ‘বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে রক্ষা করতে হবে, বৈশ্বিক উৎপাদন ও সরবরাহ শৃঙ্খলার স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে এবং একটি উন্মুক্ত ও সহযোগিতাপূর্ণ আন্তর্জাতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।’ এই সফরটি এমন সময় হচ্ছে, যখন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা চরমে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যেই চীনের রপ্তানি পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছেন। তিনি এশিয়ার অনেক দেশসহ বহু বাণিজ্য অংশীদারের ওপরও ১০ শতাংশ বেস ট্যারিফ আরোপ করেছেন। চীন থেকে আমদানি হওয়া গাড়ি, স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছে। ট্রাম্প চলতি সপ্তাহে সেমিকন্ডাক্টরের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণাও দিয়েছেন। যদিও সম্প্রতি তিনি ৯০ দিনের জন্য নতুন কিছু শুল্ক স্থগিত করেছেন, তবে সেই অবকাশ চীনের জন্য প্রযোজ্য নয়। শি জিনপিং বলেন, চীনের অর্থনীতি এখনো বিশ্ব অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে এবং চীন উচ্চ-মানের উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বকে আরও বেশি সুযোগ দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভিয়েতনামের পর শি মালয়েশিয়া এবং কম্বোডিয়া সফর করবেন। এই সফরের মাধ্যমে চীন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নিজেদের একটি নির্ভরযোগ্য বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে তুলে ধরতে চায়। ২০২৪ সালে চীনের সঙ্গে ভিয়েতনামের বাণিজ্য ৩০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৪ বিলিয়ন ডলারে, যা অঞ্চলটির মধ্যে সর্বোচ্চ। চীন বর্তমানে আসিয়ান সদস্যভুক্ত দেশগুলোর সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার এবং ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও কম্বোডিয়ারও শীর্ষ ব্যবসায়িক অংশীদার। শি জিনপিংয়ের এই সফরকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন পর্যবেক্ষকরা, বিশেষ করে যখন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।