ঘন ঘন বাপের বাড়ি যাওয়া নিয়ে সন্দেহ হয় স্বামীর, অতঃপর...
ঘন ঘন বাপের বাড়ি যাওয়া নিয়ে সন্দেহ হয় স্বামীর, অতঃপর...:
ডেস্ক রিপোর্ট: কিছুদিন যেতে না যেতেই স্ত্রী চলে যান বাপের বাড়ি। কোন কারণ ছাড়াই স্ত্রীর এভাবে বাপের বাড়ি যাওয়া দেখেই সন্দেহ হয়েছিল স্বামীর ৷ শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফিরে আসার জন্য স্বামী চাপ দিতেই এক পর্যায়ে স্ত্রীর মুখ ফসকে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সত্য। স্বামী সহ বাপের বাড়ির সদস্যদের সামনেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিলেন তরুণী ৷ এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের ফারুখাবাদ জেলায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভাওয়াঁর সিং নামে এক যুবকের স্ত্রী বৈষ্ণবী জানান, তিনি তার বাপের বাড়ির গ্রামের বাসিন্দা মনোজ নামের এক যুবককে ভালোবাসেন। তিনি আরও বলেন, প্রথম বিয়েতে তিনি খুশি নন এবং মনোজের সঙ্গেই থাকতে চান। ঘটনার সময় স্ত্রী বৈষ্ণবী বাপের বাড়িতে ছিলেন। সেখানে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন গিয়ে তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলে তিনি তার সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে ওই দম্পতির বিয়ে হয় ৷ বিয়ের পর থেকেই ঘন ঘন নিজের বাপের বাড়িতে চলে যেতেন ওই তরুণী ৷ তরুণীর স্বামী শেষ পর্যন্ত স্ত্রীর এই আচরণে বিরক্ত হয়েই তাকে ফোন করে বাড়ি ফিরে আসতে বলেন ৷ যদিও বাড়ি ফিরতে রাজি হননি বৈষ্ণবী ৷ এ কথা শুনে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে স্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে কথা বলেন ওই যুবক ৷ তখনই তার স্ত্রী জানান, একই গ্রামের বাসিন্দা মনোজ বলে এক যুবককে ভালবাসেন তিনি এবং তাকেই বিয়ে করতে চান ৷ স্ত্রীর এই পরকীয়া সম্পর্কের কথা জেনেই আর দু বার ভাবেননি ভাওয়াঁর সিং নামে ওই যুবক ৷ স্ত্রীকে তার প্রেমিককে বিয়ে করে নিতে বলেন তিনি ৷ গত ৮ এপ্রিল বৈষ্ণবী এবং মনোজের বিয়েও হয়৷ কিছুদিন আগে উত্তর প্রদেশের সন্ত কবীর নগর জেলাতেও এক যুবক দীঁড়িয়ে থেকে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রেমিকের বিয়ে দেন ৷ সন্ত কবীরনগর জেলার বাসিন্দা ওই যুবক জানিয়েছিলেন, যেভাবে মেরঠে স্ত্রী এবং তার প্রেমিক মিলে পেশায় মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতকে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে, তাতে স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের কথা জেনেও তিনি তা নিয়ে অশান্তি করার সাহস পাননি ৷ ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয়ভাবে উত্তেজনা ছড়ায় এবং উভয় পরিবারের মধ্যে আলোচনা চললেও এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।