মোহামেডানকে হারিয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপা আবাহনীর
মোহামেডানকে হারিয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপা আবাহনীর:
ডেস্ক রিপোর্ট: এক বছরের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে নাটকীয়ভাবে খেলেছিলেন আগের ম্যাচে, কিন্তু শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়কে ছাড়াই মাঠে নামে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ফলাফল—চরম মূল্য দিতে হলো দলটিকে। প্রতিপক্ষ আবাহনী লিমিটেড সেই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে ৯.২ ওভার হাতে রেখে ৬ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) শিরোপা ঘরে তোলে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে মোহামেডান। শুরুটা ভালো হলেও ইনিংসের মাঝপথে ধাক্কা খায় দলটি। ওপেনার রনি তালুকদার করেন ৪৫ রান, চারে নামা ফরহাদ হোসেনের ব্যাটে আসে ৪২। ১২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে মোহামেডান, তবে মাহমুদউল্লাহ ও আরিফুল ইসলামের ৯০ রানের জুটি দলকে ২৪০ রানে পৌঁছে দেয়। দুইজনই হাফসেঞ্চুরি করে বিদায় নেন। জবাবে আবাহনীও প্রথম দিকে কিছুটা চাপে পড়ে যায়। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারায় দলটি। কিন্তু এরপর শুরু হয় মিঠুন-মোসাদ্দেক ধৈর্যের ও আগ্রাসনের গল্প। মোহাম্মদ মিঠুন ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন, আর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন করেন মাত্র ৬৫ বলে ৭৮ রান, ছয়টি চার ও পাঁচটি ছক্কার ঝড়ে। এর আগে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে জিসান আলম খেলেন ৫৩ বলে ৫৫ রানের ইনিংস, যা দলকে শক্ত ভিত গড়ে দেয়। তাওহিদ হৃদয়ের অনুপস্থিতি যে মোহামেডান দলের জন্য বড় ধাক্কা ছিল, তা স্পষ্ট। ব্যাটিং কৌশলে তার নেতৃত্ব ও অভিজ্ঞতার অভাব টের পাওয়া যায় পুরো ম্যাচজুড়েই। এই জয়ে আবাহনী লিমিটেড ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের আধিপত্য আরও দৃঢ় করল। তারা এখন টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়ন। এই ম্যাচের আগে ১৫ রাউন্ড শেষে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে ছিল আবাহনী। সমান ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ছিল মোহামেডান। জিতেই ৪ পয়েন্টে এগিয়ে তাই ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল আবাহনী। মোহামেডান জিতলে দুই দলের পয়েন্ট সমান হতো। সেক্ষেত্রে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকায় শিরোপা জিতত মোহামেডান। শেষ হওয়া মৌসুমে আবাহনীর হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন জাতীয় দলের সাবেক টপ অর্ডার ব্যাটার হান্নান সরকার। তিনি আবাহনীর কোচের দায়িত্ব নেওয়ার আগে বিসিবির নির্বাচক প্যানেলের সদস্য ছিলেন। কিন্তু ওই চাকরি ছেড়ে কোচিংয়ে নাম লেখান তিনি। দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম মৌসুমেই দলকে চ্যাম্পিয়ন করলেন হান্নান সরকার।