নিষেধাজ্ঞার মাঝেও বাজারে ইলিশ, দামও আকাশচুম্বী

অপরাধ ১২ এপ্র ২০২৫

নিষেধাজ্ঞার মাঝেও বাজারে ইলিশ, দামও আকাশচুম্বী:

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রতি বছরের মতে এবারও বছরের মার্চ থেকে এপ্রিল এই দুই মাস চাঁদপুরের মেঘনায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই নিষেধ অমান্য করে মাছ শিকারে নেমেছেন জেলেরা। যদিও সাগর-নদীতে তেমন ইলিশ মিলছে না। আর পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুরসহ অনেক স্থানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই ইলিশ শিকারে মেতেছেন জেলেরা। আর এসব মাছ আড়তে গোপনে চলছে বিকিকিনি। এমনকি ব্যবসায়ীরাও যে যার ইচ্ছে মতো দাম হাঁকাচ্ছেন। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ওজন ও মান অনুযায়ী ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা থেকে দুই হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত। কোল্ডস্টোরেজে রাখা এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার টাকা কেজিতে। আর কোল্ডস্টোরেজ ছাড়া এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে দুই হাজার ৮০০ টাকায়। লক্ষ্মীপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অনেক জেলে মাছ শিকার করছেন। সেসব মাছ চড়া দামে গোপনে বিক্রি করছেন জেলেরা। বিশেষ করে ছোট আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে। আর ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ টাকা থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া বড় আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে তিন হাজার টাকা কেজিতে। মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে নামলে জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। জনবল সংকটের কারণে সঠিকভাবে অভিযান চালানো যাচ্ছে না। তারপরও অল্প জনবল নিয়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বরিশালে খুচরা বাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৩০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকায়। ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৭০০ টাকা, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ দুই হাজার ৪০০ টাকা। আর এক কেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার টাকা কেজিতে। ‘ইলিশের রাজধানী খ্যাত’ চাঁদপুরেও নিষেধাজ্ঞার মধ্যে কয়েকটি আড়তে গোপনে চলছে বেচা-কেনা। তবে দাম বেশি হওয়ায় বৈশাখের আগে ইলিশ কিনতে এসে ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই। উল্লেখ্য, বরগুনার পাথরঘাটায় এক কেজি ওজনের ইলিশের প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে এক লাখ ৫০ হাজার টাকায়।

ট্যাগ