পাটকেলঘাটায় শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

পাটকেলঘাটা ২৫ মার্চ ২০২৫


সৈয়দ মাসুদ রানা ॥
আর মাত্র কয়েক দিন বাকি ঈদের। পাটকেলঘাটায় এরই মধ্যে চলছে ঈদের কেনাকাটা। ঈদের কেনাকাটায় ছোট-বড়, ধনী-গরিব কেউ পিছিনে নেই। নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী ক্রেতারা ছুটছেন ফুটপাত থেকে শুরু করে ছোট-বড় মার্কেট ও বিপণি-বিতানগুলোতে। ঈদের আনন্দকে সাথী করতে প্রতিটি মানুষ পছন্দের জিনিসটি কিনতে ছুটছেন বিভিন্ন মার্কেটে। কেউ কিনছেন শাড়ি, কেউ পাঞ্জাবি, কেউ বেবি ড্রেস, কেউ থ্রিপিস আবার কেউ বাহারি কসমেটিকস। মানুষের কোলাহলে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে বিভিন্ন মার্কেটে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। পাশাপাশি ফুটপাথের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ১৮ রোজার পর থেকে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। আমরা সারা বছর ঈদকে লক্ষ্য রেখে বসে থাকি। ঢাকা থেকে ভালো ভালো পণ্য ক্রয় করি। রমজানের শুরুতে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে টেইলার্সের দোকানগুলোতে। তরুণী ও নারীরা আগেই টেইলার্স ও ছিট কাপড়ের দোকানে গিয়ে পছন্দের দেশি-বিদেশি থ্রিপিস বানিয়েছেন। পাটকেলঘাটার গারমের্ন্স ব্যবসায়ী বসিরহাট বন্ত্রলয়ের মালিক শাহিনুর রহমান বলেন, শার্ট-প্যান্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি-পায়জামা, ট্রাউজার, বাচ্চাদের পোশাক, শাড়ি, শার্ট পিস, প্যান্ট, পিস, থ্রি-পিস, গেঞ্জি, লুঙ্গি ইত্যাদি রমজানের শুরুতে আমি ঢাকা থেকে নিয়ে এসেছি । ১৫ রমজানের পর থেকেই দোকানে নানা বয়সী কিশোরী, তরুণী, মহিলাদের ভিড় বাড়ছে। এবারের ঈদে শাড়ির বাজার খুবই মন্দা। তেমন ভিড় নেই দোকানে। সন্ধ্যার পর একটু বেশি ভিড় থাকলেও ক্রেতাদের শাড়ি কেনার প্রতি আগ্রহ কম। শহরের অনেকে এখন বাহারি সব থ্রিপিস পরছে। তাই শাড়ি কিনছে কম।
শাড়ি কিনতে আসা নাজমা আক্তার মুক্তি জানান, ঈদে এবার দেশি প্রিন্টের একটি শাড়ি কিনেছি। আমার মায়ের জন্য টাঙ্গাইল শাড়ি কিনেছি। পাশাপাশি অন্যদের জন্য তাঁত, সিল্ক শাড়ি কিনেছি। থ্রিপিস কিনতে আসা জান্নাতুল ফেরদৌস ঝুমুর আক্তার বলেন, এবার আমি দেশি সুতি থ্রিপিস কিনেছি। কারণ সামনে গরম তাই সুতি থ্রিপিস পরে খুবই আরাম বোধ করি। পাশাপাশি দেশি আড়ং-এর প্রিন্টের থ্রিপিস আমার খুবই পছন্দের।

ট্যাগ