পটুয়াখালীতে জিলাপি বিতরণের পর টাকার হিসাব নিয়ে তুমুল সংঘর্ষ

অপরাধ ৩১ মার্চ ২০২৫

পটুয়াখালীতে জিলাপি বিতরণের পর টাকার হিসাব নিয়ে তুমুল সংঘর্ষ:

ডেস্ক রিপোর্ট:

পটুয়াখালীর গলাচিপায় ঈদের নামাজ শেষে জিলাপির টাকার হিসাব নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজনকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আজ সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের লামনা গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কয়সর আলী সিকদার বাড়ি জামে মসজিদে ঈদের নামাজ শেষে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আহতরা হলেন, মো. রাসেল (৩২), আব্দুর রহমান (৪০), মো. রাজ্জাক (৩৩), মোসা. ফাতিমা (২৮) ও জাহিদুল ইসলাম (৩৮)। তারা সকলেই বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের লামনা গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে প্রথম তিনজন গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন, এবং অপর দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিদের মধ্যে জিলাপি বিতরণের পর টাকা দেওয়া-নেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয় এবং পরে সংঘর্ষ শুরু হলে দুই পক্ষই লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়, এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। ভুক্তভোগী আব্দুর রহমান ও জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, "মসজিদের প্রতিষ্ঠাতার নাম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সেই জেরে দুলাল সিকদার, আলামিন সিকদার ও ফিরোজ সিকদারের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা গলাচিপা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি।" আব্দুর রহমান আরও বলেন, "গত রাতে আলোচনার পর ঈদের জন্য ১৫ কেজি জিলাপি কেনা হয়। কিন্তু আজ নামাজ শেষে জিলাপির টাকার হিসাব করা হবে বলে আমাদের বসতে বলা হয়। মুসল্লিরা চলে যাওয়ার পরই তারা অতর্কিত হামলা চালায়।" অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বিবাদীপক্ষ পূর্বশত্রুতার জেরে ইচ্ছাকৃতভাবে এ সংঘর্ষে জড়িয়েছে এবং বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। মসজিদ কমিটির সভাপতি সুলতান সিকদার বলেন, "আমি বর্তমানে এলাকায় নেই। ঘটনার বিষয়ে শুনেছি। বাড়িতে এসে বিস্তারিত জানার পর এ নিয়ে বসবো।" তিনি স্বীকার করেন যে, মসজিদের প্রতিষ্ঠাতার নাম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে গলাচিপা থানার ওসি (তদন্ত) ঝিলন হাওলাদার বলেন, "অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

ট্যাগ