রংপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ২৫

অপরাধ ৫ এপ্র ২০২৫

রংপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ২৫:

ডেস্ক রিপোর্ট: দোকান ভাড়াকে কেন্দ্র করে রংপুরের বদরগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নিউজ টোয়েন্টিফোরের ক্যামেরাপারর্সন ফারুকসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোনো মুহূর্তে আরও বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। আজ শনিবার (৫ এপ্রিল) বেলা ১টার দিকে বদরগঞ্জ উপজেলার শহিদ মিনারের সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বদরগঞ্জ বাজারে দোকান ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টিনের ব্যবসা করছেন জাহিদুল ইসলাম। গত মাসে হঠাৎ জাহিদুল ইসলামকে দোকান ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন দোকান মালিক ইতিয়াক বাবু। দোকানের চুক্তিবদ্ধে আগামী ২০২৮ সাল পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও জাহিদুল ইসলাম দোকান জামানতের ৩৫ লাখ টাকা ফেরত শর্তে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। এদিকে, দোকানমালিক জামানতের ওই ৩৫ লাখ টাকা দিতে নারাজ এবং দোকান নিজে না ছেড়ে দিলে জোর করে ছাড়িয়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। এরই প্রেক্ষিতে দোকান মালিক ইতিয়াক বাবু দলবল নিয়ে গত ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় দোকানঘর ভাঙচুর করেন এবং লুটপাট করেন। এসময় ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম প্রতিবাদ করলে তাকেও বেধর মারপিট করে আহত করেন। বর্তমানে জাহিদুল ইসলাম বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলামের পক্ষ নেন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হক মানিক। জামানতের টাকা না দিয়ে ভাড়াটিয়াকে মারধর এবং দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার প্রতিবাদে আজ শনিবার বেলা ১টার দিকে বদরগঞ্জ শহিদ মিনারের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে মানিক চেয়ারম্যান গ্রুপ। মানববন্ধন চলাকালে অতর্কিত হামলা চালায় সাবেক সংসদ সদস্য রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য ও বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার গ্রুপ। এর সঙ্গে যোগদেন বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হুমায়ুন কবির মানিক। হামলা চালিয়ে তারা মানববন্ধনের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন এবং মাইক ভাঙচুর করেন। এতে মানিক চেয়ারম্যান গ্রুপের লোকজন বাধা দিলে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় সাংবাদিকসহ ২৫ জন আহত হন। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক হলেন- শফিকুল ইসলাম, লাভলু হাজী, ময়নাল উদ্দিন। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আতিকুর রহমান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ট্যাগ