ট্রাম্পের দৃষ্টিতে ‘দুই দুষ্টের মধ্যে কম দুষ্ট’ কে?
ট্রাম্পের দৃষ্টিতে ‘দুই দুষ্টের মধ্যে কম দুষ্ট’ কে?:
ডেস্ক রিপোর্ট: মার্ক কার্নি ও তার লিবারেল পার্টির বিজয় উদযাপনের শব্দ তখনও পুরোপুরি থামেনি, এরই মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাদের নিয়ে মন্তব্য করে বসলেন—যা খুব বেশি প্রশংসাসূচক ছিল না। আমার মনে হয়, যে ব্যক্তি আমাকে সবচেয়ে কম অপছন্দ করেছিল সেই জিতেছে, বুধবার কানাডার সাধারণ নির্বাচনে প্রায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ক্ষমতায় ফেরা মার্ক কার্নিকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। তবে ট্রাম্পের দৃষ্টিতে ‘দুই দুষ্টের মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম দুষ্ট’ হিসেবে মূল্যায়িত হলেও কার্নি সেটি মেনে নিতে রাজি হবেন। এক প্রতিবেদনে এমটাই জানিয়েছে বিবিসি। ট্রাম্প আরও বলেন, নির্বাচনের পর প্রথম ফোনালাপে তিনি মনে করেছেন, সাবেক ব্যাংক অব ইংল্যান্ড গভর্নর ‘খুবই ভদ্র ছিলেন।’ এই দুই নেতা আগামী সপ্তাহের মধ্যে হোয়াইট হাউসে সাক্ষাৎ করতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে। ট্রাম্পের ক্ষেত্রে রাজনীতি প্রায়ই ব্যক্তিগত হয়ে ওঠে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি তার পক্ষপাতিত্ব যেমন যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্ককে প্রভাবিত করেছে, তেমনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রতি তার শ্রদ্ধা দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্য যুদ্ধে কিছুটা ভারসাম্য বজায় রেখেছে। কানাডার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ উল্টো। সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ট্রাম্প প্রায় শুরু থেকেই অপছন্দ করতেন। ২০১৭ সালে ট্রাম্পের প্রথম অফিসে যোগদানের কয়েক সপ্তাহ পরেই ট্রুডোর সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাতেই যে দীর্ঘ, অস্বস্তিকর করমর্দনের ঘটনা ঘটেছিল, তা পরবর্তী সম্পর্কের পূর্বাভাস ছিল। তাদের সম্পর্ক জুড়ে ছিল খোঁচা, ব্যঙ্গ ও অবজ্ঞাসূচক মন্তব্য। এমনকি হোয়াইট হাউসে ফিরে গিয়েও ট্রাম্প তাকে ‘গভর্নর ট্রুডো’ বলে উপহাস করতেন এবং কানাডাকে আমেরিকার ‘৫১তম প্রিয় রাজ্য’ বানানোর কথা বলতেন। ট্রুডোর বিদায়ের পরও সেই ‘অধিগ্রহণের কথা’ ট্রাম্প বলেছেন, কার্নি আসার পর কিছুটা শান্ত হয়েছে পরিস্থিতি।